সুশীল সমাজের মতে, ৪৩ টি দেশে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ হতে নীতি সুরক্ষা প্রচেষ্টার অবনতি ঘটেছে
বৈশ্বিক তামাক হস্তক্ষেপ সূচক ২০২৩ ৯০টি দেশের ক্রম প্রস্তুত করেছে ; সূচকটি তামাক শিল্পের কূটকৌশল উন্মোচন করে যার মধ্যে আছে ইলেট্রনিক পণ্য প্রচারণা ও পরিবেশগত ক্ষতি লুকানো।
নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র, এবং ব্যাংকক, থাইল্যান্ড, নভেম্বর ১৪,২০২৩– বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সরকার অব্যাহতভাবে শক্তিশালী তামাক কোম্পানির প্রভাবের সম্মুখীন যা তামাক ব্যবহার সীমিতকরণ প্রচেষ্টা ব্যহত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (ডব্লিউএইচও এফসিটিসি) এর আর্টিকেল ৫.৩ অনুযায়ী তামাক শিল্প হতে নীতি সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তারা যথেষ্ট ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হচ্ছে।
স্টপ ও গ্লোবাল সেন্টার ফর গুড গভার্নেন্স ইন টোব্যাকো কন্ট্রোল (জিজিটিসি) এর বৈশ্বিক তামাক হস্তক্ষেপ সূচক ২০২৩ শীর্ষক নতুন এক প্রতিবেদনে অবনতির ধারা উঠে এসেছে। সুশীল সমাজের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায় ২০২১ সালের প্রতিবেদনে স্থান পাওয়া ৮০ দেশের অর্ধেকের (৪৩) বেশির স্কোরে অবনতি ঘটেছে,আর স্কোরে উন্নতি হয়েছে ২৯ টি দেশের। নিজ স্বার্থে নীতি ও নীতি প্রণেতাদের কাজে লাগানোর তামাক শিল্পের তীব্র প্রচেষ্টা থেকে কোন দেশই বাদ যায় নি, আর এসব কৌশলের মধ্যে রয়েছে ইলেক্ট্রনিক পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা তৈরিতে আগ্রাসী লবিং এবং সিগারেট ও ইলেক্ট্রনিক পণ্য উভয়ের দ্বারা সৃষ্ট পরিবেশের ক্ষতি ঢাকার উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা। শীর্ষ উপলব্ধিগুলো হলঃ
• ব্রুনেই দারুসসালাম, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স,নেদারল্যান্ড ও বতসোয়ানা সব মিলিয়ে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে।
• সবচেয়ে খারাপ স্কোর পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ডোমিনিকান রিপাবলিক, সুইজারল্যান্ড, জাপান ও ইন্দোনেশিয়া-এদের মধ্যে প্রত্যেকটিতে তামাক শিল্পের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে।
• সবচেয়ে চমকদপ্রদ স্কোর এসেছে ইউক্রেন,বতসোয়ানা, বুরকিনা ফাসো এবং ইথিওপিয়ার। যেহেতু তামাক শিল্প ক্রমাগতভাবে আফ্রিকায় ক্রেতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছে, ওই অঞ্চলজুড়ে সুরক্ষা নীতিতে অগ্রসর হওয়া জরুরি হয়ে উঠেছে।
• প্রত্যেক অঞ্চলে সবচেয়ে ভাল ও সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকা সরকারের স্কোরে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে।
• আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এফসিটিসি অনুমোদন না করা দেশগুলোতে তামাক শিল্পের ব্যাপক হস্তক্ষেপ দেখা গেছে।
“তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার সবচেয়ে বড় অন্তরায় খোদ তামাক শিল্প।” বলেন মেরি আসুন্তা, পিএইচডি,যিনি স্টপের অন্যতম অংশীদার গ্লোবাল সেন্টার ফর গুড গভার্নেন্স ইন টোব্যাকো কন্ট্রোল এর বৈশ্বিক গবেষণা ও এডভোকেসি প্রধাণ এবং এই সূচকের শীর্ষ প্রণেতা। “এই প্রতিবেদন পরিস্কার করেছে যে আত্মতুষ্টির কোন স্থান নেই ; তামাক শিল্পের হস্তক্ষেপ থামানোর মূল চাবিকাঠি সরকারের হাতে।তাদের অবশ্যই আর্টিকেল ৫.৩ এর সদ্ব্যবহার করতে হবে, যা প্রতি বছর ৮০ লাখ তামাক সৃষ্ট মৃত্যু ঠেকানোর ব্যাপারে সবিশেষ উদ্যোগ গ্রহণে তাদের উজ্জীবিত করবে।”
উল্লেখযোগ্য প্রবণতার মধ্যে আছে নতুন আসক্তকারী বস্তু যেমন ই-সিগারেট, উত্তপ্ত তামাক পণ্য (এইচটিপি) ও নিকোটিনের থলির গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে তামাক শিল্পের আগ্রাসী উদ্যোগ।
• মিসর, কেনিয়া ও উরুগুয়েতে ই-সিগারেট, উত্তপ্ত তামাক পণ্য (এইচটিপি) এবং/অথবা নিকোটিনের থলির ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিলে তামাক কোম্পানিগুলো সফলতার সাথে লবিং করেছে। উরগুয়েতে জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক শিল্পবান্ধব ফিলিপ মরিস ইন্টারন্যাশনালের তথ্য ব্যবহার করেছে নিজেদের বিশেষজ্ঞদের মতামতের স্থলে।
• মালয়েশিয়ায় নীতিনির্ধারকেরা জাতীয় বিষাক্তপণ্য আইনের বিষাক্তপণ্যের তালিকা হতে ই-সিগারেটের নাম বাদ দিয়েছে আইনটি সংশোধনে জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল দাবি জানানোর পর।
• ইতালিতে ই-সিগেরেট ও এইচটিপি সংক্রান্ত কঠোর নিয়ন্ত্রণ বিধি আরোপের প্রস্তাব ই-সিগারেট কোম্পানি হতে অর্থসাহায্য নেয়া নীতিপ্রণেতারা সফলভাবে বাঁধা প্রদান করে।
• ফিলিপাইন তামাক শিল্পবান্ধব ই-সিগারেট আইন অনুমোদন করেছে।
ই-সিগারেট বর্জ্য নিয়ে বাড়তে থাকা উৎকণ্ঠা ও সিগারেট ফিল্টার বিষাক্ত, একবার মাত্র ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক হিসেবে নিষিদ্ধ হওয়ার দাবির মুখেই তামাক শিল্প তার পরিবেশের ওপর করা ক্ষতি ঢাকতে তোড়জোর বাড়িয়েছে।
• ব্রাজিল,কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, ও উরুগুয়েসহ অন্তত ১৫ টি দেশে তামাক শিল্প পরিচালিত সিগারেট অবশিষ্টাংশ পরিচ্ছন্নকরণ কর্মসূচি সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের সমর্থন পেয়েছে।
• কোস্টারিকাতে পিএমাই পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত একটি উদ্যোগ ও আইনসভায় সিগারেটের অবশিষ্টাংশ বিশেষ বর্জ্য হিসেবে ঘোষণা দেয়া ও তার অপসারণের দায় উৎপাদনকারী বা আমদানীকারকের ঘাড়ে দেয়া বিষয়ক একটা বিল নিয়ে বিতর্ক চলছিল সমসাময়িকভাবে,
• বাংলাদেশ,বসনিয়া ও হারজেগোভিনা,ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জ্যামাইকা, জর্ডান, মাদাগাস্কার, শ্রীলঙ্কা ও জাম্বিয়াসহ ১০টি দেশের স্থানীয় বা জাতীয় সরকার তামাক শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশীদার হয়েছে নতুবা সমর্থন দিয়েছে।
জাতীয় নীতিপ্রণয়ন ছাড়াও তামাক শিল্প বৈশ্বিক চুক্তি আলোচনা লক্ষ্যবস্ত্যু বানিয়েছে, বিশেষ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) ৯ম অংশীজন সম্মেলন (কপ)।
“নীতি নির্ধারকদের মন ভোলাতে দেয়া তামাকশিল্পের সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কর্মসূচির অর্থসাহায্য তাদের দ্বারা সাধিত ক্ষতি, সরকারের হারানো কর রাজস্ব ও তাদের অর্জিত কোটি কোটি টাকা মুনাফার তুলনায় নগণ্যই বটে”, এভাবেই উপসংহার টানেন আসুন্তা, “তামাক শিল্পের ধোঁকাতে পড়া থেকে সরকারের বিরত থাকতে হবে, বরং তাদের কৈফিয়ত প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।”
দয়া করে আরও তথ্যের জন্য বা স্টপের মুখপাত্রের সাথে আলাপ করতে স্টপ প্রেস দপ্তরে যোগাযোগ করুন।
সম্পাদকদেরর জ্ঞাতার্থে
প্রতিবেদনের বাড়তি কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনাঃ
তামাক শিল্পের হস্তক্ষেপ রুখে দেয়া
- তামাক ব্যবহার কমিয়ে আনতে ও আইন প্রণয়ন পেছানো এবং তামাকপণ্য বিজ্ঞাপন নিষেধাজ্ঞা বাতিলের তামাক শিল্পের প্রচেষ্টা মোকাবেলায় ইউক্রেন একটি পূর্ণাঙ্গ নীতি বাস্তবায়ন করেছে।
- বতসোয়ানা ও বারকিনা ফাসো উভয়েই স্বচ্ছতা বাড়ানো, তামাক শিল্পের সহযোগিতা প্রত্যাখান এবং নীতি সুরক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
- তামাক শিল্পের চাপের মুখেও আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল,মেক্সিকো, নিকারাগুয়া এবং পানামা ই-সিগারেট এবং এইচটিপির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং থাইল্যান্ড পিএমআই অর্থায়িত প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত একটি গোষ্ঠীর ই-সিগারেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিলের জন্য নেয়া ধোঁয়া মুক্ত বিশ্বের লবিং প্রতিহত করেছে।
নীতির ওপর প্রভাব
- বলিভিয়া,গুয়াতেমালা, জ্যামাইকা, তাঞ্জানিয়া ও জাম্বিয়া তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে জাতীয় পর্যায়ে তামাক শিল্পের হস্তক্ষেপ তামাক ব্যবহার হ্রাসের পূর্ণাঙ্গ আইন পাসের প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্যভাবে বিলম্বিত করেছে।
- তামাক বিজ্ঞাপন থেকে তরুণদের রক্ষার একটি বিল সুইজারল্যান্ডে গুরুত্ব হারিয়েছে এবং এর বাস্তবায়ন পেছানো হয়েছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত।
- বাংলাদেশ,চাদ, গনপ্রজাতন্ত্রী লাওস ও নাইজেরিয়া সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী তামাকের মোড়কে ব্যবহার বাস্তবায়ন বিলম্বিত করেছে।
কর রেয়াত ও ভর্তুকি
- বৈশ্বিক জীবনযাত্রার খরচ সংকটের মাঝেই সম্পদশালী সিগারেট কর্পোরেশনগুলো কর রেয়াত ও ভর্তুকি পেয়েছে,যার ফলে দেশগুলো রাজস্ব হারিয়েছে যা ব্যবহার করা যেত দেশের উন্নয়নে।
- কলম্বিয়া, মালয়েশিয়া (টানা অষ্টম বছর), মঙ্গোলিয়া, সুইজারল্যান্ড ও তুর্কিয়ে তামাক কর বাড়ায়নি।
- আর্জেন্টিনা, এল সাল্ভাদর, ইরাক ও মাদাগাস্কারে তামাক শিল্পকে কিছু কর বা কর বিষয়ক আইন হতে রেয়াত,সুবিধা বা ছাড় দেয়া হয়েছিল এবং ইন্দোনেশিয়া, লেবানন,মন্টেনেগ্রো, ফিলিপাইন, সুইজারল্যান্ড, তাঞ্জানিয়া ও উরুগুয়েতে তামাক উৎপাদনে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।
সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কর্মসূচি ও অনুদান
- প্রতিবেদনে উল্লিখিত তামাক সংশ্লিষ্ট সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কর্মসূচি নিষিদ্ধ করেছে বা তামাক শিল্পের সমর্থন বা আর্থিক সাহায্য নেয়া বন্ধ করেছে এমন ৪০ টি দেশের মধ্যে অর্ধেকের বেশি দেশ তামাক শিল্পের অর্থায়ন হয় গ্রহণ করেছে নয় অনুমোদন করেছে, কিছু ক্ষেত্রে তামাক শিল্প সুশীল সামাজিক গোষ্ঠীর মাধ্যমে অগ্রসর হয়েছে।
- কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জ্যামাইকা, মাদাগাস্কার,মন্টেনেগ্রো, প্যারাগুয়ে ও ভিয়েতনাম তামাক কোম্পানির মেডিক্যাল সরবরাহ অনুদান বা আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেছে তাদের স্বাস্থ্য খাতের জন্য।
বৈশ্বিক তামাক শিল্প হস্তক্ষেপ সূচক সম্পর্কে (বৈশ্বিক তামাক সূচক)
বৈশ্বিক তামাক শিল্প হস্তক্ষেপ সূচক হল তামাক শিল্পের হস্তক্ষেপ ও তার বাণিজ্যিক ও কায়েমি স্বার্থের হাত থেকে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের চাহিদা অনুযায়ী সরকারগুলো কেমন করছে তার বৈশ্বিক জরিপ। ২০১৯ সালে বৈশ্বিক তামাক শিল্প প্রহরী স্টপের হয়ে বৈশ্বিক তামাক সূচক প্রথম প্রস্তুত করে গ্লোবাল সেন্টার ফর গুড গভার্নেন্স ইন টোব্যাকো কন্ট্রোল (জিজিটিসি)। বৈশ্বিক তামাক সূচক ২০২৩ এই প্রতিবেদনের চতুর্থ সংস্করণ।
পদ্ধতি
সুশীল সমাজ গোষ্ঠী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ এর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত একটি প্রশ্নপত্রের উত্তর করার জন্য উন্মুক্ত উৎস হতে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করেন, যা নীতি উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে তামাক শিল্পের হস্তক্ষেপ, স্বার্থের সংঘাত ও উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে প্রবেশাধিকারের মতন বিষয় সামনে আনে। বিশ্লেষণ করতে একটি স্কোরিং ০-৫ মাত্রার একটি স্কোরিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যেখানে ৫ সর্বোচ্চ তামাক শিল্প হস্তক্ষেপ এবং ১ স্বল্প বা হস্তক্ষেপের অনুপস্থিতি নির্দেশ করে। দেশগুলোর র্যাংকিং করা হয় সুশীল সমাজ গোষ্ঠীর দেয়া স্কোরের ওপর ভিত্তি করে। স্কোর যত কম, সার্বিক হস্তক্ষেপের মাত্রাও তত কম থাকা বোঝায়।
স্টপ সম্পর্কে
ব্লুমবার্গ ইনিশিয়েটিভ টু রিডিউস টোব্যাকো ইউজ-এর অংশ স্টপ বিশ্ব জুড়ে কাজ করা একাডেমিক ও জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর একটি নেটওয়ার্ক। তামাক শিল্পের ক্ষতিকর,আসক্তিমূলক পণ্য বিক্রয়ের প্রাণান্তকর চেষ্টা উন্মোচন ও মোকাবেলা করতে তামাক শিল্পের বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয় করে স্টপ।
গ্লোবাল সেন্টার ফর গুড গভার্নেন্স ইন টোব্যাকো কন্ট্রোল সম্পর্কে
গ্লোবাল সেন্টার ফর গুড গভার্নেন্স ইন টোব্যাকো কন্ট্রোল (জিজিটিসি) বিশ্বজুড়ে সক্রিয় সমর্থক, সরকার এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন করার মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাঁধা হিসেবে বিবেচিত তামাক শিল্পের হস্তক্ষেপ প্রতিহত করতে উদ্যোগী। এর উদ্দেশ্য হল পরিবর্তনের অগ্রপথিকদের যুগান্তকারী কৌশল ও হাতিয়ার দ্বারা সমর্থ করে তোলা যেন তামাক শিল্পের হাতে বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা জিম্মি না হয়ে পড়ে। মূলত ব্যাংককে স্থাপিত জিজিটিসি সাউথইস্ট এশিয়া টোব্যাকো কন্ট্রোল এলায়েন্স (এসইএটিসিএ) এর একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ।